Dhaka Specialized Pain Management and Research Centre Ltd is a multidisciplinary Pain Management Centre in Bangladesh. Our prime goal is to provide one stop service to the Pain patient. We treat Low Back Pain with non-surgical C-arm guided different interventions. neck pain, post-surgical chronic pain syndrome
জটিল চোটে আক্রান্ত তাসকিন
জটিল চোটে আক্রান্ত তাসকিন
আপডেট: ২৩ মে ২০১৮, ১৯:৩৯
চোট নিয়ে তাসকিন কাল ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন, ‘পিঠে এতটা ব্যথা যে বিছানা থেকেও নামতে পারছি না।’ ২৩ বছর বয়সী পেসারের সঙ্গে যখন কথা হলো, ব্যথায় ঠিকমতো কথাও বলতে পারছিলেন না। মাঝে কদিন যেভাবে অনুশীলন করেছেন, মনে হচ্ছিল প্রায় সেরে উঠেছেন। হঠাৎ কী হলো যে তিনি বিছানা থেকেই উঠতে পারছেন না!
বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী আজ প্রথম আলোকে বললেন, ধীরে ধীরে জটিল আকার ধারণ করছে তাসকিনের চোট, ‘তাসকিনের পিঠের চোটটা ডিস্ক সম্পর্কিত। বড় সমস্যা হচ্ছে এটা নিয়ে কিছু অনুমান করা যায় না। আজ ভালো তো কাল বা পরশু কী হবে আমরা অনুমান করতে পারি না। দেখা যাচ্ছে দু-তিন দিন ভালো অনুশীলন করেছে, তৃতীয়-চতুর্থ দিনে ব্যথা বেড়ে গেছে। ওর যেটা হয়েছে, দু-তিন দিন খুব ভালো অনুশীলন করেছে, বোলিং করেছে। বাসায় গিয়ে আবার ব্যথা বেড়ে গেছে। ডিস্কের সমস্যা এমনই। ভালো-খারাপের মধ্য দিয়ে যায়। এ ধরনের চোটে পড়া খেলোয়াড়কে নিয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিকল্পনা করতে অসুবিধা হয়ে যায়। সব ভালো, রিহ্যাব করছে। হঠাৎ দেখা গেল ম্যাচের আগে ওর ব্যথা বেড়ে গেছে। সব চেষ্টাই বৃথা! তাঁকে নিয়ে কোচের দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা করা কঠিন।’
কোচ বা টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য তাসকিনকে নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা করা কঠিন এই মুহূর্তে। কিন্তু চোট সারিয়ে তোলার কাজটা তো করতে হবে! কিন্তু সে ব্যাপারে এখনই সুনির্দিষ্ট সমাধান নেই দেবাশীষের কাছে। বিসিবির চিকিৎসক বিষয়টা সময়ের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছেন, ‘ওর এমআরআই করে দেখেছি কোমরের সমস্যাটা এত বেশি নয় যে অস্ত্রোপচারে যেতে হবে। ওই পর্যায়ে এটা যায়নি। কিন্তু কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টেও হচ্ছে না। শুধু ফিজিওথেরাপি বা রিহ্যাবেও এটা ভালো হচ্ছে না। আমাদের এ দুটির মাঝামাঝি কিছু করতে হবে। সেটা হতে পারে ইনজেকশন। দু-এক দিনের মধ্যে একটি ইনজেকশন দেব। এটা মেরুদণ্ডের মধ্যে দিতে হবে। এটা আন্দাজে দেওয়া যায় না। দিতে হলে আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে।’
দু-এক দিনের মধ্যে গ্রিন রোডে ঢাকা পেইন ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে তাসকিনের ইনজেকশন দেওয়ার কথা ভাবছে বিসিবি। এতে দীর্ঘ মেয়াদে কোনো সমাধান হবে কি না, দেবাশীষ যদিও নিশ্চিত নন, ‘এটা সাময়িক ব্যথামুক্ত করলেও দীর্ঘ সময়ের জন্য হয়তো নয়। সাময়িক ব্যথামুক্ত হলে সে অবশ্য খেলতে পারবে। এটার স্থায়ী সমাধান অস্ত্রোপচার। আগেই বলেছি, তাসকিনের চোটটা অস্ত্রোপচারের পর্যায়ে যাইনি। মাঝামাঝি অবস্থায় ঝুলছি আমরা। অনেক পেস বোলারের এই চোট থাকে। ব্যথা কমে, আবার বাড়ে। খুবই কম খেলোয়াড়ের অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচার করেও যে শতভাগ সমাধান হয়, সেটির নিশ্চয়তাও নেই। যেমন রাজুর (আবুল হাসান) অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। ইনজেকশনেও ব্যথা কমেনি। তাসকিনের ক্ষেত্রে সরাসরি অস্ত্রোপচারে যেতে পারব না। আগে ইনজেকশন দিতে হবে। এভাবে এগোবে। মাঠে ফিরলেও আপাতত তাঁকে টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডের মধ্যে রাখতে হবে। বড় পরিসরের ক্রিকেটে তাঁকে খেলানো যাবে না, এতে ব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে।’
বিসিবির চিকিৎসক যে ‘মাঝামাঝি অবস্থা’র কথা বললেন, অস্ত্রোপচার তো নয়ই, তাঁকে এখনই দেশের বাইরে নেওয়ার কথাও ভাবা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে জটিল এক চোটেই পড়েছেন বাংলাদেশ দলের এ তরুণ পেসার।